আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন পতাকা উড়বে, ততদিন এ দেশে দুজন মানুষের মৃত্যু হবে না। একজন বঙ্গবন্ধু, আরেকজন শেখ হাসিনা।’
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী সাংগঠনিক জেলাসমূহের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার লিগ্যাসি, তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের লিগ্যাসি, বাংলাদেশে এই দুটি লিগ্যাসি টিকে আছে দাপটের সাথে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন পতাকা উড়বে, ততদিন এ দেশে দুটি মানুষের মৃত্যু হবে না। একজন বঙ্গবন্ধু, আরেকজন শেখ হাসিনা।’
আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বিএনপি- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেদিন কোথায় ছিল তাদের গণতন্ত্র?’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নাকি তাদের ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছি। ফখরুল সাহেব, আপনারা আমাদের ২২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন। আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? ২০০১ সালে অস্বাভাবিক সরকার গদিতে বসেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার শুরু করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কঠিন ঐক্য নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দেবে। এ দেশ পাকিস্তানের বন্ধুদের জন্য নয়, এ দেশ সাম্প্রদায়িকদের জন্য নয়, এ দেশ অর্থ পাচারকারীদের নয়। মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া তারেককে বাংলাদেশের জনগণ নেতা বানাবে না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আপনি এখন বলেন, সরকারি দল নাটক সাজিয়েছে। তখন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল, উনাকে কে মারতে যাবে? উনি ভ্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। নাটক তো আপনারা করেছিলেন। জজ মিয়ার নাটক। কাঁদতে কাঁদতে আমাদের চোখের পানি শেষ হয়ে গেছে।’
আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি জনসমুদ্রে রূপ নেবে। মহাসমুদ্রের সে স্রোত দেখার অপেক্ষায় আছি।’
আওয়ামী লীগ আদর্শ পাতাকাবাহী সংগঠন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা একাত্তরের সন্তান, ৭৫ এর সন্তান, ৩ নভেম্বরের সন্তান, ২১ আগস্টের সন্তান। আমাদের চেতনায়, আমাদের হৃদয়ে অনেক বেদনা। অনেক হারানোর বেদনা।’
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান এমপি, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, উপ প্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও মোহাম্মদ এ আরাফাত এমপি।
সূত্র : বাসস