হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে গ্রেফতারবিহীন এবং মামলা ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে অবৈধভাবে জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী।
মোনায়েম মুন্নার আইনজীবী মো: মেহেদী হাসান জুয়েল এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ বিনা পরোয়ানায় আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে শাহজাহানপুর থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে পাঠানো হয় পরের দিন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এরপর থেকে এক মামলায় জামিন হলেও অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে পাঠায় পুলিশ এবং রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ সিএমএম আদালত। এভাবে ৭টি মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। যার একটি মামলায়ও তার নাম এজাহারে নাই। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।
মুন্নার আইনজীবী বলেন, হাইকোর্ট আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে এভাবে মামলায় গ্রেফতার দেখানো কেন অবৈধ হবে না মর্মে রুল ইস্যু করে এবং রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জেলগেট হইতে এবং কোনো মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে গ্রেফতার না দেখাতে নির্দেশ প্রদান করে। এক্ষেত্রে আপিল বিভাগের রায় ৬৯ ডি এল আর পেইজ নম্বর ৬৩ অনুসরণ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ উচ্চ আদালতের এই আদেশ অগ্রাহ্য করে পুনরায় যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখায়। যেখানে আবদুল মোনায়েম মুন্নার নাম এজাহারে নাই।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুন্নার আইনজীবী মেহেদী হাসান জুয়েল বলেন, ৩০ আগস্ট আবদুল মোনায়েম মুন্নার সকল মামলার জামিননামা বিকেল ৫টায় জেলগেটে দাখিল করলে জেল কতৃপক্ষ জানায়, আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেবে। কিন্তু দেখা যায়, সেদিন ছেড়ে না দিয়ে তাকে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ না মেনে জেলখানায় অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে। যা মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে জানা যায়, আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে পুলিশ হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অমান্য করে রামপুরা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখায়। নিম্ন আদালত গ্রেফতার বিষয়ক শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন এবং তাকে জেলখানা থেকে কোর্টে আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অবমাননার শামিল।
বর্তমানে আবদুল মোনায়েম মুন্না সকল মামলায় জামিনে থাকলেও কোনো মামলায় গ্রেফতার ছাড়াই অবৈধভাবে জেলখানায় আটক করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী।
তার আইনজীবী বলেন, রামপুরা থানার মামলায় আবদুল মোনায়েম মুন্নার নিয়োজিত আইনজীবী সরকারি কোর্ট ফিসহ তথ্য জানার আবেদন করলেও জি আর থেকে কোনো প্রকার তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।