সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার গুল্টা শহীদ এম. মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের গেট ধসে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। মঙ্গলবার আনুমানিক বিকেল চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই তাড়াশ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার গাবর গ্রামের মৃত: জাহারুল্লার ছেলে তোজাম (৫৫), বস্তুল গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (৩০), নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের ছেলে আসিফ (১২) ও অন্যজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গুল্টাবাজারের হাট বার ছির মঙ্গলবার। এ কলেজ গেটের সামনে সাপ্তাহিক গো-হাট (গরুর হাট) বসে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হাট যখন জমে উঠে, ঠিক তখনই কলেজের গেট ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শহীদ এম. মুনসুর আলী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল বাশার অভিযোগ করেন, কোনো রকম নকশা ছাড়াই জাইকা, গুল্টা মিশন ও স্থানীয় ব্যক্তির সহায়তায় কলেজের অধ্যক্ষ আসাদউজজামান একক সিদ্ধান্তে সৌন্দর্য বর্ধন কারার নামে তিন মাস আগে ইটের তৈরি ওই গেটটি নির্মাণ করেন। নিম্নমানের কাজ করার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে শহীদ এম এ মুনসুর আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আসাদউজ জামান বলেন, গুল্টা মিশনের অর্থায়নে এ গেটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আমাদের কোনো কমিটি নেই, আমরা গেটটি করিও নাই।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ৪জন নিহতের খবর নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার পরপরই রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো: ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।