আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের সোলারচর গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাত মাস বয়সী শিশুসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা-সোলারচর সড়কে এ সংর্ঘষ হয়।
জানা গেছে, আধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ হোসেনের লোকজনের সাথে এলাকায় আধিপত্য ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইউনিয়নটির ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেনের লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ে ব্যাটারিচালিত মিশুকে থাকা ইউনিয়নের জাজিরা সৈয়দপুর গ্রামের বাবুল বেপারির মেয়ে তাবাসসুম (৭ মাস), তার চাচা সৈয়দপুর গ্রামের সুফিয়ান বেপারির ছেলে মো: জুয়েল (২৭), সোলারচর গ্রামের দেলোয়ার মস্তানের ছেলে জয় মাস্তান (২০), সালাউদ্দিন (৩০) ও মিশুকচালক জহিরুল ইসলাম (৩২) গুলিবিদ্ধ হন। বাকি জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেনের সমর্থক জয় মাস্তান গ্রাম থেকে বিতাড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামে ফিরলে জয় মাস্তানকে লক্ষ্য করে গুলি করে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ হোসেনের লোকজন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জেলা শহর থেকে মিশুকে চড়ে জুয়েল তার ভাতিজি শিশু তাবাসসুমকে নিয়ে সোলারচর গ্রামে ফিরছিলেন। ওই সময় সংঘর্ষের মাঝে পড়লে জুয়েল, শিশু তাবাসুম ও মিশুকচালক জহিরুল গুলিবিদ্ধ হন।
৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন বলেন, ‘আমার সমর্থক জয় মাস্তান গ্রামে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে ও কোপায়। পরে প্রতিপক্ষের লোকজনের গুলিবর্ষণে মিশুকে থাকা যাত্রী ও মিশুকচালক গুলিবিদ্ধ হয়।’
আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সুরুজ হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফেরদৌস কবির জানান, সন্ধ্যার পর প্রথমে তিনজন এবং পরে শিশুসহ গুলিবিদ্ধ আরো তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দু’পক্ষের কেউই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।