পাকিস্তানের আতিথেয়তায় মুগ্ধ রজার বিনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের দেয়া ভালোবাসায় আপ্লুত বিসিসিআই সভাপতি। ভারতীয় ক্রিকেটের এই শীর্ষ কর্তা জানালেন, রাজার মতো রাজকীয় সমাদর পেয়েছেন। বললেন বেশ উপভোগ করেছেন সময়টা।
প্রায় ১৭ বছর পর ভারতীয় ক্রিকেটের কোনো কর্তা হিসেবে পাকিস্তানে পা রাখেন রজার বিনি। বোর্ড সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লাকে নিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর দেশটিতে পৌঁছান তিনি। এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আমন্ত্রণেই পাকিস্তানে যান দু’জনে।
দু’দিনের সফরে পাকিস্তানে বেশ ব্যস্ত সময় কাটে দুই কর্তা ব্যক্তির। ৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান আর ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মধ্যকার সুপার ফোরের ম্যাচ উপভোগ করেন তারা। এই সময়ে বেশ কয়েকটি আয়োজনেও অংশ নেন বিনিরা। অংশ নেন লাহোরের গর্ভনর হাউজের নৈশভোজেও।
আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তান থেকে ফিরে বেশ উচ্ছ্বসিত বিসিসিআই সভাপতি। পাকিস্তানের আতিথেয়তা নিয়ে প্রকাশ্যেই সন্তুষ্টি জ্ঞাপন ও প্রশংসা করেন তিনি। বিনি বলেন, ‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। রাজার মতো আতিথেয়তা পেয়েছি। দারুণ সময় কাটিয়েছি।’
বিসিসিআই বস যোগ করেন, ‘পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায় ও পাক বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের সাথেই কথা হয়েছে। ওরা খুবই খুশি হয়েছে যে, আমাদের আসা স্বার্থক হয়েছে দেখে। আমরাও খুশি হয়েছি একই সাথে।’
পাকিস্তান থেকে ফিরে খুশী রাজিব শুক্লাও। তিনি বলেন, ‘আমরা দু’দিনের পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলাম। সফরের অভিজ্ঞতা ভালো। লাহোরের গর্ভনর হাউজে আমাদের সম্মানে নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের আতিথেয়তাও ছিল ভালো।’
এদিকে আন্তর্জাতিক আসরগুলো ছাড়া মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে আছে প্রায় একযুগ হতে চললো, সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয়েছিল ২০১২-১৩ সালে। আর পাকিস্তানের মাঠে শেষ খেলেছিল ২০০৮ সালে। এরপর আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত।
তবে বিসিসিআই কর্তাদের পাকিস্তান সফর এই সম্পর্ক উন্নয়নে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন না রাজিব শুক্লা। পাকিস্তানে সিরিজ খেলা বা যাবার বিষয়টা ভারত সরকারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজিব বলেন, ‘ওরা চাইছে যে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ফের ক্রিকেট চালু হোক। আমরা ওদের বলেছি দেখুন, এই সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। তারা যা বলবে, আমরা তাই করব। এই সফর ছিল একেবারে ক্রিকেটীয়। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না।’