আদালত প্রাঙ্গনেই যদি দেশের আইনজীবীদের ওপর হামলা হয় তাহলে অন্যত্র কী পরিস্থিতি হতে পারে, সেই ভাবনা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়য় বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ফরমায়েশী রায়ের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন আইনজীবীকে গুরুতর আহত করা হয়।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশ এখন ভয়াবহ দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট। আজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর সরকারি মদদে পুলিশ হামলা চালিয়ে সরকার আবারো এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। আইনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশের পুলিশ বাহিনী সমগ্র দেশটাকে এখন রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আইনজীবীদের ওপর নগ্ন হামলায় অবৈধ সরকার এক অশুভ বার্তা জানান দিলো। আজ পুলিশের এই হামলার মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকারের এক হিংস্র আগ্রাসনের আরো একটি রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘটল। সরকারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনসমর্থনহীন এই সরকার হিতাহিত-বিবেচনাহীন। অন্তঃহীন ক্ষমতালিপ্সার জন্য এরা জনগণের বদলে সন্ত্রাসকেই ভরসা করছে বেশি। তাই গুণ্ডামির এই নতুন রূপ দুঃশাসনকে টিকিয়ে রাখারই ইঙ্গিতবহ।
তিনি বলেন, পুলিশ এখন শুধুমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকেই নয়, তারা এখন টার্গেট করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদেরকেও। আইনজীবীদের কণ্ঠে প্রতিবাদী আওয়াজ উচ্চারিত হয়, আর এতে অবৈধ সরকারের ভিত্তি নড়ে ওঠে বলেই আজ আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আশকারা দেয়া হয়েছে।
আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর পুলিশের এই পৈশাচিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন মির্জা ফখরুল।