বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেন, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদেরকেই সরকার টার্গেট করে মিথ্যা মামলায় সাজা দিতে শুরু করেছে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
‘বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ, স্বেচ্ছাচারী ও কতৃর্ত্ববাদী সরকার ভিন্ন মতের মানুষের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় কারাদণ্ড প্রদানের ধারাবাহিকতায়
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন যখন মানুষের অধিকার নিয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন এবং যখন তাদের এই কাজ বাংলাদেশের মানুষের মনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে ঠিক তখনই তাদের বানোয়াট মামলায় দু’বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হলো। আদিলুর রহমান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে আসছেন এবং সরকারের মানবাধিকার হরণের ঘটনাগুলোকে দেশে-বিদেশে তুলে ধরে জনগণের পক্ষে কাজ করছেন। এ ধরনের মামলা নিঃসন্দেহে একটি অলীক কাহিনী।’’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেন, আর এ জন্যই তারা বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় দেয়া ফরমায়েশি রায়ে প্রমাণিত হয় যে বর্তমান সরকার বিচার বিভাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। জনগণ এই রায়কে প্রত্যাখান করেছে। আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিনের দু’বছর করে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড প্রদানের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি তাদের সাজা বাতিলের জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘জনগণ সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। যত চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, জনগণ আর ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করতে দেবে না। সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করবে জনগণ।’