দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথাবার্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে আদম তমিজী হককে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য দলের সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তারা এই প্রস্তাব করেন।
একইদিন আদম তামিজী হক ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির বাসায় অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে তামিজী হককে বহিষ্কারের বিষয়ে মত দেন মহানগরের নেতারা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, তার ভিডিওটি আমাদের যথেষ্ট বিব্রত করেছে। তিনি শুধু দলীয় বিষয়ে বলেছেন সেটা নয়, তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি বলেন, বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে শুনেছি। যদি সত্যি সত্যি এমন কিছু বলে থাকেন তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি পাসপোর্ট পুড়িয়ে থাকেন তাহলে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ হয়েছে। এটার অপমান করলে অবশ্যই দেশকে অপমান করা হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ সালাম জানবেন। অতি সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আদম তমিজী হক তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট পোড়ায় ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালাগাল করে। লাইভ সম্প্রচারের ভিডিও দেখে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি।
আরো উল্লেখ করা হয়, গতকাল রোববার মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি (ভিডিও চিত্র) প্রাপ্তি সাপেক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে তমিজী হককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সভানেত্রী আমরা তাকে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করছি। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশী পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন।
সেই ভিডিওতে আদম তমিজী হক বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।