জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কৌশলে এগোচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভাষ্য, সরকারি দমনপীড়নের কারণে এই কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে। নেতারা জানিয়েছেন, আপাতত কৌশল অবলম্বন করলেও আসছে অক্টোবরে জোরালো আন্দোলনে যাবেন তারা এজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে মাঠে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে নামবেন নেতাকর্মীরা। নেতারা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের দাবি জানানো হবে। এক্ষেত্রে তৃতীয়পক্ষ সংঘাতের উস্কানি দিতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা করছেন। এজন্য আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সহ আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তি ও অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর সারা দেশের মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াত। তবে নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই রাজধানীর পান্থপথে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি পালন করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বাধা আসায় কর্মসূচিতে নতুন কৌশল অবলম্বন করতে চায় দলটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন কৌশলে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে চায় জামায়াত। তবে এই কর্মসূচি বিএনপি’র সঙ্গে একই মঞ্চে হওয়ার সম্ভাবনা কম। পৃথকভাবে যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তিতে হবে। এই কর্মসূচিতে থাকবেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মানবজমিনকে বলেন, এই দাবি আদায়ে আমাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। সঠিকভাবে করতে দেয়া হচ্ছে না। তাই সামনে আমরা নতুন ধাঁচে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবো।
কর্মসূচি কি একদফা দাবিতেই হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ। আমাদের দাবি একটাই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এ দাবিতেই আন্দোলন করবো।
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ মানবজমিনকে বলেন, আমরা আন্দোলনের মধ্যেই রয়েছি। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে যৌথ কর্মসূচি নিয়ে আসবো।