নিউইয়র্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. আ. মুক্তাদিরের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. আ. মুক্তাদির স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্ট নিউইয়র্ক এ উপলক্ষে গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এস্টোরিয়া জালালাবাদ ভবনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি এমাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন মুক্তাদির সৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি মাহমুদ হাছান এমবিই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনারারী কনসাল জেনারেল মনির চৌধুরী, সংগঠনের ট্রাস্টি শাহাব উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের আজীবন সদস্য সুব্রত বিশ্বাস, আজীবন সদস্য এডভোকেট শেখ আখতারুল ইসলাম, সিরাজুল আলম খান সৃতি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ডা: মুজিবুল হক, মুক্তাদিরের আদর্শের সৈনিক আবুল কালাম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন কামালী, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, আজীবন সদস্য ফখরুল আলম, আজীবন সদস্য ইয়ামিন রশিদ, লিগেল কনসালটেন্ট মুজিবুর রহমান, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী শামসুদ্দিন, আজীবন সদস্য মোশাররফ খান, আজীবন সদস্য তাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশন সভাপতি আব্দুল মালেক খান লায়েক, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, সাবেক প্রচার সম্পাদক আবদুল করিম, কার্যকরী সদস্য হেলিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল ইসলাম লোফা, আল আমিন জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহমদ, আজীবন সদস্য মোজাফফর আহমদ, মইনুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন কামালী ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামসহ অন্যান্যরা সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য মাহমুদ হাছান এমবিইকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এসময় জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকাসহ অন্যন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হয়।
বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. আ. মুক্তাদির স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবা, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদানসহ সমাজের বহু সেবা মূলক কাজ চলছে। তারা ম,আ, মুক্তাদিরের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সড়কের নামকরণ করার জন্য সরকার ও সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতি আহবান জানান।
সভায় সৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের দেশ বিদেশে কর্মতৎপরতার ব্যাপারে এবং ম,আ, মুক্তাদিরের কর্মময় জীবন ভিত্তিক দেশ বিদেশের গুনিজন ও লেখা ছবি সহ স্মারকগ্রন্থ বের করে তার জীবনী এবং সহযোদ্ধাদের ত্যাগের কথা ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে দলিল হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মরে না বারবার আমাদের চেতনাকে শানিত করতে ফিরে আসে। ম,আ, মুক্তাদির আমাদের স্বপ্ন, আদর্শ। তিনি কোন দিন ভোগের রাজনীতি করেননি। জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমৃত্যু সমাজ পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছেন। বক্তারা বলেন, তার সৃতি রক্ষার জন্য মুক্তাদিরের অত্যন্ত রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ সহচর ট্রাস্টি শাহাব উদ্দীন ট্রাস্ট গঠন করে আজ ছাব্বিশ বছর ধরে পালন করেন। একটাই উদ্দেশ্যে নূতন প্রজন্মের কাছে ত্যাগের রাজনীতিতে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করা।