দুই পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। ওপার বাংলার সিনেমায় কাজ করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বর্তমানে বড় পর্দার কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত সাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব সোহানা সাবা। কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবনার কথা প্রকাশ করতে এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে থাকেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে নির্মাতা মুরাদ পারভেজের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন সোহানা সাবা। কিন্তু ২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংসারের ইতি টানেন তারা। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ নিজের ফেসবুকে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন সাবা।
গত বুধবার ছিল সাবার বিয়ে বিচ্ছেদের ৮ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ‘মিডিয়ায় কাজ করা মানুষদের সংসার টেকে না’ শিরোনামে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
স্তৃতিচারণ করে লেখার শুরুতে সোহানা সাবা বলেন, ‘এই কথা শুনে শুনে কান পঁচে যাওয়ার কারণেই প্রায় ১০ বছর দাঁত চেপে পড়েছিলাম। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত পৌনে বারোটায় একা একটা রিকশা নিয়ে পুরান ঢাকায় খালামণির বাসায় যখন যাচ্ছিলাম, তখন বাসায় আবার অত্যাচারিত হওয়ার চেয়ে রাস্তায় অজানা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যাওয়ার ভয়কে তুচ্ছ মনে হচ্ছিল। অথচ ভেবেছিলাম বড় করে এক দশক সেলিব্রেট করব। সবাইকে চমকে দেব আমরাও পারি! থাক না সে ডিকেডে সবার অজানা রক্তাক্ত ইতিহাস।’
বিয়ে বিচ্ছেদের পর পরিপূর্ণভাবে জীবনকে উপভোগ করছেন সাবা। তা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ভাবনাটা সমান্তরাল দুই পাশ থেকেই আসতে হয়। আজকে যখন নিজেকে দেখি অবাক লাগে। কত চড়াই-উতরাই পাড় করে আজ কি সুন্দর জীবন। অলমোস্ট ৯ বছরের ছেলের মা। যে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে যে, তার কোনো ভয় নেই। তার আশেপাশে শক্ত আরামের দেয়াল। তার মানে কিন্তু এই নয়, আমি আমার জীবন উপভোগ করি না। আমি আমার জীবন পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করি।’
প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান। তা স্মরণ করে সাবা বলেন, ‘যা হবার ছিল বা হতে পারতাম না ভেবে, প্রতিদিন নিজেকে ভেঙে গড়ি, প্রতিদিন আমি আরও সুন্দর, শক্ত, আধুনিক, পিওর হই। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।’ হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেন, ‘আমার স্বাধীনতার ৮ বছর।’
২০০৯ সালে পরিচালক মুরাদ পারভেজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সাবা। ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। পুত্র স্বরবর্ণের বয়স এখন ৯ বছর। ৩৬ বছর বয়সী সাবা সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ছেলেকে বড় করছেন।