বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতারা এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা। দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লিতে, আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। শেখ হাসিনা-পুতুল-জো বাইডেনের সেলফি, দিল্লিতে বাজিমাত, নিউইয়র্কেও বাজিমাত।
তিনি বলেন, কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি? তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে; দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শত্রুতা কারো সাথে না, সবার সাথে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যা এমন ভারসাম্য সবার সাথে করে ফেলেছেন, আর কোনো চিন্তা নেই। ইলেকশন হবে, যথাসময়ে হবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে আমিনবাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব চোর আপত্তি করেছে, কিন্তু শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেনি। ক্ষমতায় এসে দেশসহ গিলে খাবে, ওই দিন শেষ। ডিসেম্বরে বলেছিল না, খালেদা জিয়া দেশ চালাবে। মনে আছে? নয় মাস চলে গেছে। এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করে। চার-পাঁচ বছর আদালতে হাজিরা দেয়নি। এত দিন খালেদা জিয়ার মামলার ফয়সালা হয়ে যেতো। হয়তো মুক্তিও পেতো। কিন্তু এ মামলা ফয়সালা হয়নি শুধু বিএনপির কারণে। বিএনপি মামলা ঝুলিয়ে রেখেছে। আদালতে ঝুলিয়ে রেখেছে। খালেদা জিয়াকে দিয়ে যদি কিছু করা যায়!
তিনি আরো বলেন, অক্টোবর, অক্টোবরে নাকি পতন। কোন অক্টোবর? এই অক্টোবর না আগামী অক্টোবর। অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে কিছুই হবে না। বাংলার জনগণ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই দলের আর দরকার নেই। দুর্নীতির দুর্গন্ধ আছে যে দলে, সেই দল আমরা চাই না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমিনবাজারের ব্রিজগুলো একে একে সব হয়ে গেছে। গাবতলী ব্রিজও শিগগিরই হয়ে যাবে। গাজীপুরের বাস ট্রাফিক ট্রানজিট, সেটাও হয়ে যাবে। আগামী বছর লাইনের ওপর বাস চলবে। সুদিন আবার আসবে। সুখ চাইলে একটু কষ্ট লাগেই। এই কষ্ট বেশি দিন থাকবে না।
তিনি বলেন, খেলা হবে, ভোটচুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। চোরদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।