বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি না দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো রাজনীতি হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পেছনে কোনো রাজনীতি জড়িত নয়। তাকে আইন ও মানবিকতার সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া হয়েছে। তাকে মানবিকতা দেখানোর আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমরা খালেদা জিয়াকে ভয় পাই না।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, তার (খালেদা জিয়া) পরিবার দরখাস্ত করেছিল, সেটা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনে কোথাও নাই তাকে এই দরখাস্তে তাকে বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দেয়া যায়। বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আগেই শর্ত দেয়া ছিল, এখন সেটিকে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।
যে দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করা যায় কি না- এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। শর্ত যদি দেয়া হয় তা মানতে হবে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা তিনি তা প্রয়োগ করেছেন, এটা পুনরায় প্রয়োগ করার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে দোষ স্বীকার করে চাইতে হয়। বিষয়টি যিনি ক্ষমা চাইবেন তার বিষয়। এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার, যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তার জন্য আদালতের আদেশ বা নির্বাহী আদেশের প্রয়োজন ছিল না। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগ সভাপতির বিষয়টি এক নয়।’
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।