১ লাখ ২৪ হাজার করোনাভাইরাস রোগী নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে দেশটির প্রায় সাড়ে ৫৩ হাজার আক্রান্ত মানুষ রয়েছে কেবল নিউ ইয়র্ক শহরেই। তবুও সেখানে দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল শনিবার রাতে এক ঘোষণায় তিনি এ কথা জানান।
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে ট্রাম্প নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নিউইয়র্ক বড় হুমকি ফ্লোরিডার জন্য।
তবে ট্রাম্পের অবস্থান একেবারে পাল্টে যায় নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুয়োমো এবং নিউজার্সির গভর্নর নেড ল্যামন্টের বিরোধিতার পর। এই দুই গভর্নরের বক্তব্য ছিল, নিউইয়র্ক লকডাউন করলে ভীতি সৃষ্টি হবে এবং এর ফলে অর্থবাজার আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘হোয়াইট হাউস করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে এবং নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কানেটিকাটের গভর্নরদের সঙ্গে কথা বলে আমি তাদের (ইউএস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন–সিডিসি) নির্দেশ দিয়েছি কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে। কোয়ারেন্টিনের কোনো দরকার নেই।’
ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর সিডিসি তিন অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের প্রয়োজন না হলে সব ধরনের ভ্রমণ থেকে আগামী ১৪ দিন বিরত থাকার অনুরোধ করেছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও খাদ্য সরবরাহকারী ব্যক্তিরা এর আওতামুক্ত থাকবেন বলে জানানো হয়।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবারই নিউইয়র্কে ১২২ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
করোনাভাইরাসের ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত ৮৮৩ জন মানুষ মারা গেছেন। যা গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর পুরো দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ২২৯ জন।