রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনো অবরুদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ‘ডু-নট ক্রস- ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ টেপ দিয়ে কার্যালয়ের তিন দিক ঘিরে রাখা হয়েছে। দুই প্রান্তে এক স্তরের পুলিশ অস্ত্র হাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কার্যালয়ের কলাপসিবল গেইট বা প্রবেশ ফটকে তালা লাগানো।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বিএনপির অফিস এখন সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের নিয়ন্ত্রণে। এখানে তারা তদন্ত কাজ করছেন।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লাইট পোস্টগুলোতে নতুন করে আরো সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, মই দিয়ে নতুন ক্যামারা স্থাপন করছেন টেকনিশিয়ানরা।
নয়াপল্টনের সড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল করছে। পথচারীদের কার্যালয়ের সামনে ‘ক্রাইস সিন’ বেষ্টনী ঘুরে যেতে হচ্ছে।
গত ২৮ অক্টোবর (শনিবার) মহাসমাবেশে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর গভীর রাতে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ করে দিয়ে সিআইডি তদন্ত কাজ শুরু করে।
গতকাল রোববার সকালে ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে সরেজমিনে তদন্ত এসে ১১টি আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। ক্রাইম সিন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, তারা আলামতগুলো পরীক্ষা করতে কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছে।
কার্যালয়টি বন্ধ হয়ে পড়ায় নেতাকর্মীদের এই এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় অধিকাংশ নেতাই আত্মগোপনে চলে গেছেন।
গতকাল সকালে বিএনপি মহাসচিবকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে রাতে হাজির করা হলে তাকে কেরানিগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।
২৮ অক্টোবর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের হামলা, গুলিবর্ষণ এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক ও আহত করার প্রতিবাদে পরের দিন রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। একদিন কর্মসূচি বিরতি দিয়ে আবার আগামীকাল ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।