হক গ্রুপের চেয়ারম্যান আদম তমিজি হকের বাসায় অভিযান চালানো হলেও তাকে গ্রেফতার করেনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশান-২-এর ১১১ নম্বর রোডে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি। পরে তাকে গ্রেফতার না করে ফিরে আসেন র্যাবের সদস্যরা।
আলোচিত আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বেশ কয়েকটি। তাকে আইনের আওতায় আনতে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এর ১১১ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় যান র্যাব সদস্যরা।
এদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তমিজি হককে গ্রেফতার না করার বিষয়টি জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আদম তমিজি হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদম তমিজিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অভিযানের মুখে গ্রেফতার করা হলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তমিজি। এমনকি নিজের স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এ র্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, পাশাপাশি আমরা অভিযানে গিয়ে দেখেছি একজন বিদেশী নাগরিক তার বাসায় অবস্থান করছেন। তিনি তার বন্ধু বলে জেনেছি। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় তাকে গ্রেফতার করিনি। তবে বাড়িটি ঘিরে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে।
সম্প্রতি রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে সরকারের সমালোচনা করেন তমিজি হক। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়ান আরেফির সাথে যোগসাজশের অভিযোগও রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুক লাইভে বাংলাদেশী পাসপোর্ট পুড়িয়ে আলোচনায় আসেন আদম তমিজী হক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। এরপর হারান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ।
ঘোষণা দেন সব ব্যবসা-বাণিজ্য গুঁটিয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার। পরে সেই প্রক্রিয়ার পথেই হাঁটছিলেন তিনি। ওই ঘটনার পর তিনি খুব কম সময় দেশে ছিলেন।