ডলার সংকটে রয়েছে দেশের ২১টি ব্যাংক উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছেন, ‘সার্বিকভাবে ডলারের সংকট নেই এখন। দেশে ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলারের মজুদ আছে। এসব ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে। আর এসব বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকগুলো ডলারের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এসময় ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ জানান এ মুখপাত্র।
মেজবাউল হক বলেন, ‘গতকাল বুধবার বাফেদা-এবিবি রপ্তানি-রেমিট্যান্স ও আমদানিসহ সব ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়েছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়বে। এখন আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা কমে এসেছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ কমে আসবে বলে জানান তিনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের বেশি ডলার আছে। সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংক গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ কারণেই কখনও কখনও অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলার বাজারে।’
ডলার বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করবে কি না এমন প্রশ্নে এ মুখপাত্র বলেন, ‘রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। এখানে বন্ধ করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো ‘আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং সেবামূল্য পরিশোধ। এ দুই জায়গাতেই চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বেশকিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্রও খোলা কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশিরভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই বলাই যায়, অল্পসময়ের মধ্যেই ডলার সংকট নিরসনের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’