আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন উদ্বেগ নেই। সংবিধান মেনেই আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এলে বিএনপির ওপর আসা উচিত। তারা নাশকতা করছে, চোরাগোপ্তা হামলা করছে। এগুলোতা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় তাহলেএকমাত্র বিএনপি ও তার দোসররাই পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নাশকতা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। যারা নির্বাচনের কার্যক্রমে বিপত্তি সৃষ্টি করবে ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের পায়তারা আছে। দেশেও আছে, বিদেশেও আছে। পোশাক খাতের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এ খাতে শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। পরবর্তীতেও এ সরকার ক্ষমতায় আসলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা নিবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার দরকার নেই। যারা করছেন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে
১৪ দল আর জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৭ তারিখের পরে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনো সংকট থাকবে না।’
৩২ আসনে আওয়ামী লীগের কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে মনোনয়ন বাতিলে আওয়ামী লীগের কোন চাপ নেই। নির্বাচন কমিশন তার আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীন। ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে আসলে আওয়ামী লীগ বাধা দিবে না। তবে এবার ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোন বাধা বিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারবে না। নির্বাচনমুখী ভোটাররাই যারা নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে তাদের প্রতিহত করবে। আজকে বিএনপি ও তার সহযোগীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরপরও নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা, জাগরণের কমতি নেই। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।