দীর্ঘ পাঁচ মাস পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় স্থানান্তর করা হতে পারে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, রাতে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা ম্যাডামকে পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি আরও বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এতটা ভালো নয়। আপাতত কয়েকদিন ম্যাডামকে বাসায় রেখে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে যেকোনো সময় তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।
এদিকে বিএনপি’র স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, মার্কিন চিকিৎসক দলের অস্ত্রোপচারের পর থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাসায় নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৯ই আগস্ট তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু কয়েক দফা আবেদনের পর সরকারের তরফ থেকে অনুমতি মেলেনি। গত ২৭শে অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয়। পরদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার করেন তারা। এরপর লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা কিছুটা উপশম হলেও তাকে হাসপাতালেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সর্বশেষ গত ৯ই জানুয়ারি বিকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর সন্ধ্যায় তাকে ফের কেবিনে আনা হয়। ৭৮ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিসহ নানা রোগে ভুগছেন। এর আগে করোনায় আক্রান্তসহ বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।