বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, “আমাদের কালো পতাকা মিছিল নিয়ে ঠাট্টা করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বলেছে, ‘কালো পতাকা মিছিল তো শোকের’। কিন্তু আওয়ামী লীগ হয়তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছ। তারা এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এর চেয়ে আর বড় কোনো শোক নেই।”
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ডামি নির্বাচনে অবৈধ সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার
আয়োজন করে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। এই গণতন্ত্র হরণ করেছে আওয়ামী লীগ।
যদি গণতন্ত্র না থাকে, এ দেশের মানুষ কেন যুদ্ধ করেছিল, বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ ছিল পলায়নকারী দল। যুদ্ধ করেছিল দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। আওয়ামী লীগ কোনো মুক্তিযুদ্ধ করেনি।
‘দেশের মানুষ কানাডায় বেগম বাড়ি, সেকেন্ড হোম চায় না। তারা চায় পাঁচ বছর পর একদিন ভোট দিতে, সেটাই কি অপরাধ? ১৮ কোটি মানুষ কি এই অধিকারটুকু পাবে না!’
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র কিন্তু হাতের মোয়া নয়। আমরা এটার জন্য একটি রাষ্ট্রের শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। সেই শক্তি হলো- বুলেট। সে জন্য আমাদের আজকের এই সংগ্রাম সহজ সংগ্রাম নয়। ১৫ বছরে লাখের বেশি মামলা দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আর আওয়ামী লীগ ভিন্ন চরিত্রের দল। আওয়ামী লীগ যা করে বিএনপি তা করে না। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনারা আপনাদের মনোবল অটুট রাখুন। আওয়ামী লীগ এই গণতান্ত্রিক মানুষদের কোনো কিছুতেই কাবু করতে পারবে না। দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরে দিতেই হবে, দিতেই হবে।
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো: বাবুল সরদার চাখারী, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্ণেল অবপ্রাপ্ত মিয়া মসিউজ্জামান প্রমুখ।