৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানর জাতীয়নির্বাচন বাতিল চেয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য অনুমোদন দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই শুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আলী খান নামের এক নাগরিক আবেদন করেছেন। আবেদনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও কেন্দ্রীয় সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬০ ঘণ্টা পর প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০২টি আসন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৪টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্য দলগুলো পেয়েছে ১৭টি আসন। পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ আসন। কিন্তু কোনো দলই এই সংখ্যায় না পৌঁছানোয় জোট সরকার গঠনের পদক্ষেপ নেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।
তবে এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিটিআই, পিপিপি, জামায়াতে ইসলামি ও জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) এর মতো দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।