মির্জা ফখরুল সাহেব কারাগার থেকে বের হয়ে একই সাজানো নাটকের পুনরাবৃত্তিতে মেতেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা তার বিবৃতি পড়ে দেখলাম, তারা (বিএনপি) ঘুরে দাঁড়াবে। কোথা থেকে কোথায় ঘুরবেন সেটা আমাদের জানা নেই। তাদের আন্দোলনের চৌকস কথার ফুলঝড়ি আমরা অনেক শুনেছি। বিএনপির নেতারা জনগণের কাছে নিজেদের খাটো করছেন। তাদের আন্দোলন করার মতো অবজেক্টিভ পজিশন বাংলাদেশে নাই।’
বিএনপিকে আন্দোলনের কথা না ভেবে এখন থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায় না। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাওয়া যায় না; বিএনপির সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে রক্তের দাগ, হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল বিএনপি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড করেছে। যার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে জিয়াউর রহমান। তাদের ওপর আরোপিত অভিযোগ তারা আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের ওপর। তারা কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। প্রাইম টার্গেট আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা। যেখানে ২৩টি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এমএস কিবরিয়া, আহসানাউল্লাহ মাস্টার, নাটোরের মমতাজ, সাংবাদিক মানিক শাহ, সামসুর রহমান, হুমায়ুন কবির বালু বিএনপির আমলে বিএনপি এসব হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছিল। এরপর মির্জা ফখরুল কোথা থেকে পেলেন, আমরা নাকি হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছি। এখন তিনি আমাদের ওপর উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, পারভিন জামান, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ।