ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাঁচজন চিকিৎসক কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল শনিবার হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কে এম মামুন মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার গাইনি বিভাগের একজন নারী মেডিকেল অফিসার, মেডিসিন বিভাগের দুজন পুরুষ মেডিকেল অফিসারের করোনাভাইরাস পজিটিভি আসে।
এর আগে গত বুধবার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রী শিশু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার করোনায় আক্রান্ত হন বলে তারা নিশ্চিত হন।
তবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা এই পাঁচজনের হাঁচি-কাশি ছাড়া তেমন অন্য কোনো লক্ষণ নেই বলেও জানান সহকারী পরিচালক মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘তারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, এমন কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি।’
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালটি নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডা. মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা হাসপাতালটিতে ১৩টি ওয়ার্ডে অন্তত ৪শ’ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে যেন চিকিৎসা দিতে পারি, সেভাবে নতুন করে সাজাচ্ছি। এজন্য চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী সবাই কাজ করবে। ৭ দিন টানা কাজ করে প্রতিটা গ্রুপ আবার ১৪ দিন পুরোপুরি কোয়ারেন্টিনে থাকবে।’
পুরো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ নিশ্চিত করে সাজাতে আরও ২/৩দিন সময় লেগে যাবে বলেও জানান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আশা করছি বুধবার কিংবা বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাসপাতালটি চিকিৎসার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে দেখা দেওয়ার পর ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যেই গত ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডা. মঈন উদ্দিন নামে প্রথম একজন চিকিৎসকের মৃত্যু ঘটে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন।