বিশ্ব কাঁপিয়ে দেয়া করোনাভাইরাস ধনী-গরিব, ধর্ম-বর্ণ মানছে না। ছাড় দিচ্ছে না বিশ্বের বিশিষ্ট মানুষজনদেরও। তার বেশ কয়েকটি উদাহরণ অবশ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিলেছে। এমনকী ব্রিটেনের রাজপরিবারেও ঠেকানো যায়নি করোনার হানা। এবার ভারতেও সেই একই রূপে দেখা যাচ্ছে করোনাকে। এবার দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনেও কোভিড-১৯ হানা দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।
খবরে প্রকাশ, রাষ্ট্রপতি ভবনে কর্মরত এক সাফাইকর্মীর শরীরেই নাকি মিলেছে করোনা। স্বভাবতই ওই কর্মী রাষ্ট্রপতি ভবনে কর্মরত অন্যদের সংস্পর্শেও যেহেতু এসেছেন, তাই মনে করা হচ্ছে তার থেকে সংক্রামক ওই ব্যাধী অন্যদের শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সাবধানের মার নেই মন্ত্রকে মনে রেখে আপাতত রাষ্ট্রপতি ভবন কমপ্লেক্সে কর্মরত প্রায় ১০০ জনকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। চার দিন আগে ওই সাফাই কর্মীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে বলে জানা যায়। ফলে দেশের প্রথম নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষাই এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে।
রাষ্ট্রপতি ভবনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারকে এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইন হয়ে থাকতে হবে। তবে সেখানকার অন্য কর্মীদের মধ্য দিল্লির একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানেই চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে আশার কথা এটাই যে, এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ওই সাফাই কর্মী ছাড়া বাকিদের শরীরের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল করোনা-নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে, ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনা আক্রান্ত মোট ১৮ হাজার ৬০১ জন। এর মধ্যে আবার ৫৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই মারণ রোগের কারণে।
গোটা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে রাজধানী দিল্লিতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশের মধ্যে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। আর ঠিক তারপরেই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে এখনো পর্যন্ত ২ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করছেন।
সূত্র : এনডিটিভি