ভয়াবহ তাপদাহে পুড়ছে ব্রাজিল। রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে বিগত এক দশকের রেকর্ড ছাড়িয়ে তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে এরইমধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। খবর আল জাজিরা ও টিভিএম নিউজের।
ব্রাজিলের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী রিওতে সোমবার (১৮ মার্চ) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ‘তাপ সূচক’ চলে গেছে ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১৪৪.১ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, সেলসিয়াসের মাপে প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে ‘ফিলস লাইক টেম্পারেচার’ চলে গেছে চরম মাত্রায়। বাতাসের আর্দ্রতা বিবেচনা করে তাপমাত্রা শরীরে কেমন অনুভূত হচ্ছে, সেটি পরিমাপ করে তাপ সূচক নির্ণয় করা হয়। তাপসূচকে ব্রাজিলে নতুন রেকর্ড গড়েছে চলমান তাপপ্রবাহ।
পশ্চিম রিও শহরে রবিবার সকাল ৯.৫৫ টায় (১২.৫৫ জিএমটি) ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপসূচক রেকর্ড করা হয়। সোমবারও একই তাপমাত্রায় শরীর পুড়েছে। আলার্টা রিও গত ২০১৪ সাল থেকে এ ধরনের রেকর্ড রাখা শুরু করার পর এটি তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড গরমের অনুভূতি। এর আগের রেকর্ড গত নভেম্বরে তাপ সূচক পৌঁছেছিল ৫৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিকে প্রচন্ড তাপদাহে রিও শহরসহ ব্রাজিলের বেশির ভাগ অঞ্চলের মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রাজধানীতে অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরইমধ্যে স্কুল-কলেজসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তপ্ত গরমের হাত থেকে বাঁচতে লোকজন সমুদ্র সৈকত, রাস্তার পাশের কৃত্রিম ফোয়ারায় যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে অবস্থান নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ইপানেমা ও কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন।
মধ্য রিওর একটি পার্কে গাছের ছায়ায় বসে ঘামছিলেন রাকেল কোরেয়া নামের এক সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমি খুব ভয় পাচ্ছি যে তাপদাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কেননা, জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি নির্বিচারে গাছপালা কেটে, বন উজাড় করে আবাসন বৃদ্ধি এবং সড়ক যানবাহন বেড়ে যাওয়ার কারণে আবহাওয়াও বিরূপ হয়ে পড়ছে।