নয় বছর ধরে ভারতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। কারা কীভাবে তাকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে রেখে এসেছিল তার পর্দা এখনো উন্মোচিত হয়নি। এখন তার দেশে ফেরায় বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে। এর নেপথ্যের কিছু বিষয় অবশ্য খোলাসা হওয়া গেছে। অনুপ্রবেশের মামলায় বছর খানেক আগে তাকে খালাস দেয় শিলংয়ের আদালত। একইসঙ্গে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই কাহিনী চুকে যায়নি। বলা হয়, এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হয়। সেখানকার প্রশাসন এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামতও চায়। কিন্তু সে মতামত এখনো পাওয়া যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনবারের সাবেক এই এমপির স্থান হয়েছিল মন্ত্রিসভায়ও। ২০১৫ সালের ১০ই মার্চ যখন নিখোঁজ হন তখন যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি বিএনপি’র মুখপাত্রেরও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। বিএনপিতে তিনি আরও বড় কোনো পদ পান কিনা তা নিয়ে এক ধরনের গুঞ্জন রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশে তার দীর্ঘ অবস্থানের বিষয়টিও কেউ কেউ সামনে আনছেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ যখন নিখোঁজ হন তখন তার দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গুম করেছে। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ২০১৫ সালের ১১ই মে শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা করা হয়। এ মামলায় এবং আপিলেও পরে তিনি খালাস পান।