মুন্সীগঞ্জে আরো এক নারীর (৩৭) করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর সাত দিন পর জানা গেল তিনি করোনায় আক্রান্ত। এই দীর্ঘ সময় এই নারী নানা দ্বিধাদ্বন্দ্বে কাটিয়েছেন। তার রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে চিকিৎসকরাও পড়েন নানা বিড়ম্বনায়।
জানা যায়, ওই নারীর নমুনা নেয়া হয় ১৯ এপ্রিল। আইইডিসিআরে পাঠানো হয় ২০ এপ্রিল। আর রিপোর্ট আসে ২৬ এপ্রিল। মাঝের এই এক সপ্তাহ অনেক বিড়ম্বনায় কেটেছে ওই নারী ও চিকিৎসকদের।
এর আগে তার স্বামী (৫০) স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার পরে কাটাখালিস্থ কবরস্থানে তাকে স্বাভাবিক নিয়মেই দাফন করা হয়। তবে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে নমুনা পরীক্ষায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ আসে। এ সংবাদে তার কাফন-দাফনে সংশ্লিষ্টরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
এদিকে শুধু এই নারী নন, ১৯ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় পাঠানো হয় ১৯১ জনের নমুনা। করোনা উপসর্গ থাকা ওই ১৯১ জন ব্যক্তিও নানা দ্বিধাদ্বন্দ্বে দিন পাড় করছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, ১৯ এপ্রিল ৩টি, ২০ এপ্রিল ২টি, ২১ এপ্রিল ৪৮টি, ২২ এপ্রিল ৪৪টি, ২৩ এপ্রিল ২২টি , ২৪ এপ্রিল ৩৬টি এবং ২৫ এপ্রিল ৩৬টি নমুনা ধারাবাহিকভাবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ১৯ এপ্রিলের ওই নারীর রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকি রিপোর্ট এখনো পেন্ডিং রয়েছে।
এছাড়াও শনিবার সংগ্রহ করা ৫৫ জনের নমুনা রোববার সকালে আইইডিসিআরের গাড়ি এসে নিয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় করোনা শনাক্ত হলো ৫৯ জনের। তবে আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে ৬২ জনের তথ্য। বাকি আরো তিনজন রোগী আমরা এখনো নিশ্চিত করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, মুন্সীগঞ্জ থেকে পাঠানো ৫৫৬টি নমুনার মধ্যে আইইডিসিআর রিপোর্ট পাঠিয়েছে ৩৬৫টি। এছাড়া রোববার পাঠানো ৫৫টি নমুনাসহ ২৪৬টি নমুনার রিপোর্ট পাঠায়নি আইইডিসিআর।