বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার বিদ্যু, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ দাম বাড়ানোর কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্যাসখাতে ভর্তুকি সীমিত রাখার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩-এর ধারা ৩৪ (ক) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে ,সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য মে মাস থেকে শুধুমাত্র বিদ্যুৎশ্রেণিতে ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য যথাক্রমে প্রতি ঘনমিটার ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা এবং প্রতি ঘনমিটার ৩০ দশকি ৭৫ টাকা থেকে প্রতি ঘনমিটারে ০ দশমিক৭৫ টাকা বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ১৫ দশমিক ৫০ টাকা এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩১ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।
বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের আটটি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬,৫৭০.৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।