ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। একই সঙ্গে প্রতি চারজন প্রার্থীর একজন ঋণগ্রস্ত। এছাড়া মোট প্রার্থীর মধ্যে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বিভিন্ন মামলার আসামি।
রোববার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী এক হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায় অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজার শতাংশ। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার আট হাজার ৯৬৮ শতাংশ।
প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণে টিআইবি জানায়, ৩১০.৯৪ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে ঋণগ্রস্ত প্রার্থী তালিকার শীর্ষে আছেন নেত্রকোনার পূর্বধলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। তার ৯৯.১৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। তিন নম্বরে পিরোজপুরের নেছারাবাদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সোহাগ মিয়া, তার ঋণ ৩৫.৮৭ কোটি টাকা।
গত ৮ই মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২১শে মে। এরপর তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯শে মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ই জুন ভোটগ্রহণ হবে।