ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় হেলিপকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে অপ্রত্যাশিত মৃত্যু ঘটেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রমুখের। এ ঘটনা সত্যিই দুর্ঘটনা নাকি এতে শত্রু পক্ষের হাত আছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা।
দি ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে। এতে বিভিন্ন মহল থেকে বাস্তবতা অনুসন্ধানের আওয়াজ উঠেছে। ইসরাইল ও ইরানের বৈরিতা ঐতিহাসিক। তাই এসব আলোচনাকে একদম উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে দামেস্কে ইসরাইলের একজন ইরানি জেনারেলকে হত্যা এবং ইরানের পরবর্তী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যারেজসহ সাম্প্রতিক উত্তেজনা ওই সন্দেহকে ঘনীভূত করে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, তবে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ এমন আলোচনাকে অস্বীকার করেন। তারা বলেন, ইসরাইল ঐতিহ্যগতভাবে উচ্চ-প্রোফাইল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে সামরিক এবং পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার প্রক্রিয়া অধিক অবলম্বন করে থাকে। তাই এতে তাদের সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা গৌণ।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এ ঘটনায় ইসরাইলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তবে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইসরাইলের হাত প্রমাণিত হলে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে। লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেনজুড়ে ইরানের প্রক্সি নেটওয়ার্ক ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে আরো জটিল করে তুলবে। বিশেষ করে ইসরাইল ও হামাসের সাথে চলমান সঙ্ঘাত নতুন মাত্রা পাবে। ইরানের নেতৃত্বে যেকোনো অস্থিতিশীলতা এই গোষ্ঠীগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে। ফলে সম্ভাব্য বিস্তৃত সঙ্ঘাতের দিকে গড়াতে পারে ভবিষ্যত।
সূত্র : দি ইকোনমিক টাইমস