ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালেন্ট আর সেইসাথে গাজায় হামাসের তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার যে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জতিক অপরাধ আদালত (আইসিজি) তা বৃহস্পতিবার নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাউডেন। সাত মাসব্যাপী এই চলমান সঙ্ঘাতে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয় যে আদালত এ সপ্তাহে যে অভিযোগ করেছে যে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের অভুক্ত রাখছে, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি-না।
বাইডেন এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি কিন্তু বলেন, ‘আইসিসি যেভাবে বিচারের কাজ করছে আমরা তাতে স্বীকৃতি দিই না আর এটাই হচ্ছে সোজা কথা।’
যুদ্ধ যেভাবে চলছে সে সম্পর্কে বাইডেন, যিনি ইসরাইলের দীর্ঘ সময়ের সমর্থক বলেন, ‘আমাদের মনে হয় না যে ইসরাইল যা করেছে এবং হামাস যা করেছে তাদের মধ্যে কোনো সমীকরণ করা যায়।’
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের সূচনা ইসরাইলের ওপর ৭ অক্টোবরের অকস্মাৎ আক্রমণের মধ্য দিয়ে যে আক্রমণে ১২০০ লোক প্রাণ হারান এবং প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করা হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় পাল্টা আক্রমণে ৩৫ হাজার ৭০০-‘রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন অসামরিক লোকজন এবং যোদ্ধারাও।
তবে তারা বলছে যে নিহতদের বেশিভাগই নারী ও শিশু। অস্ত্র বিরতির জন্য আলাপ আলোচনা মাসের পর মাস ধরে চলছে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) ঘোষণা করে যে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জরুরি অনুরোধ সম্পর্কে তারা শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানাবে।
মিশরের সীমান্তলগ্ন গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফায় ইসরাইলের আক্রমণের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে।
দক্ষিণ আফ্রিকা জাতিসঙ্ঘের এই শীর্ষ আদালতের প্রতি আহ্বান জানান যে তারা যেন ইসরাইলের প্রতি এই দাবি জানায় যে ইসরাইল যেন গাজা থেকে নিজেদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেয় এবং ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন ওই সরু অঞ্চলে জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তা, মানবিক সংগঠনসমূহ এবং সাংবাদিকদের অবাধে প্রবেশ করতে দেয়।
এই অনুরোধ হচ্ছে বৃহত্তর মামলারই অংশ যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে।
ইসরাইল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে এ হচ্ছে ‘জেনোসাইড কনভেনশনের অশালীন ব্যবহার।’
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা