ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে মোট ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এ ভোটগ্রহণ। বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নয়া দিগন্তের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ময়মনসিংহ বিভাগ
সরিষাবাড়ী (জামালপুর)
সরিষাবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে ৪২ হাজার ১৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী তালেব উদ্দিন ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬১৮ ভোট।
বরিশাল বিভাগ
তালতলী (বরগুনা)
বরগুনার তালতলী উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুজ্জামান মিন্টু।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত্র ভোটগ্রহণ চলে।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আনারস প্রতীকে মনিরুজ্জামান মিন্টু পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজবী উল কবির ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৩ ভোট।
সিলেট বিভাগ
সদর, শান্তিগঞ্জ ও মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলায় যথাক্রমে খায়রুল হুদা চপল, সাদাত মান্নান অভি ও মো: আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বুধবার রাত ৮টায় জেলার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফলে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় খায়রুল হুদা চপল (মোটর সাইকেল) ৩৬ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলে রাব্বী স্মরণ (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৫৪ ভোট।
শান্তিগঞ্জ উপজেলায় সাদাত মান্নান অভি (আনারস) ৪১ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী আবুল কালাম (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৮৬ ভোট।
মধ্যনগর উপজেলায় ১২ হাজার ৮৫৩ ভোট পেয়ে মো: আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া (মোটর সাইকেল) নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: সাইদুর রহমান (কাপ-পিরিচ প্রতীক) পেয়েছেন ৯ হাজার ৯১৭ ভোট।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো: আলমগীর হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম হলেও দিনভর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথায়ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।