বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে নয়াপল্টন জামে মসজিদে মিলাদ ও বিশেষ দোয়া করা হয়। বাদ যোহর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীরা মিলাদ ও দোয়ায় অংশ নেন।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, মাহবুবুল হক নান্নু, আমিনুল ইসলাম সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, তারিকুল আলম তেনজিং, সালা উদ্দিন ভুইঁয়া শিশির, মাহবুবুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা: জাহিদুল কবির, সাবেক যুবদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সাবেব ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, মেহেবুব মাসুম শান্ত, জাকির হোসেন, অধ্যাপক ইমিয়াজ বকুল, ছাত্রদলের সহ সভাপতি ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ নেতাকর্মীরা দোয়ায় অংশ নেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাত ৩টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইসচেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এজেএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ম্যাডামের জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর।