ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। দেশের একটি গণমাধ্যম এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ১৪ দলের সভায় এমনটা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ দলের একাধিক সূত্র জানায়, সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। যাকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সমালোচনা করেন মেনন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। ডিবি কেন এসবের মধ্যে জড়াবে?’
এ সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হারুন অর রশীদের ওপরে ক্ষোভ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছেও এমন নানা খবর এসেছে। তার কর্মকাণ্ডের জন্য নানা সমালোচনা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত ছিল বিষয়টি দেখা। কিন্তু এখন আমাকেই হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। তাকে (হারুন) সরিয়ে দিতে বলব।’
১৪ দলের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হারুনের ওপরে খুবই বিরক্ত। তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
১৪ দলের সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে খাইয়ে সেই ছবি প্রকাশ করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
এ নিয়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।’
রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।