বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া ব্রিটেনের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে, ইলিং সেন্ট্রাল ও অ্যাকশনের সংসদ সদস্য এই মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন,
শেখ হাসিনার ব্রিটেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য তার কাছে ব্যাপক অনুরোধ জমা পড়ছে। তিনি বলেন, তারা ‘কসাইকে নিষিদ্ধ’ করার দাবি জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তার রক্তপিপাসু সরকারের গভীর অজনপ্রিয়তা এবং অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মামলার আবেদনের মুখোমুখি এমন একজন হাই-প্রোফাইল আশ্রয়প্রার্থীকে আশ্রয় দেয়া ব্রিটেনের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
রূপা আরো বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশী মনে করেন, তার অভিযোগের মুখোমুখি হতে তার দেশে ফিরে আসা উচিত।’
উল্লেখ্য, হাসিনা ব্রিটেনে আশ্রয় নিতে পারেন, এমন গুঞ্জনের মধ্যে তিনি এই মন্তব্য করলেন। উল্লেখ্য, হাসিনার বোন রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকও লেবার পার্টির এমপি।
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ত্যাগের প্রসঙ্গ টেনে রূপা বলেন, ‘একজন নিষ্ঠুর অত্যাচারীর ধারণা সাধারণত শাড়ি পরা সত্তরোর্ধ্ব এক নারীর হতে পারে না। তবে দেশ যখন আগুনে জ্বলছিল, হাসিনাকে হেলিকপ্টারে করে ভারতে নির্বাসনে পাঠানো হয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একাধিক ভিডিও বার্তায় হাসিনার প্রতি ‘কৃতজ্ঞ’ হওয়ার জন্য বাংলাদেশী নাগরিকদের ‘তিরস্কার’ করেছেন।
রূপার মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা করলে বিপদ হতে পারে- এই ভীতিকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে।’ তবে রূপা সতর্ক করে বলেন, ‘ঝুঁকি এখনো রয়েছে। আশা করা যায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’