মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত সংশোধিত গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। এখন হামাসকে অবশ্যই তা গ্রহণ করতে হবে। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে ইসরাইলের গণহত্যা অব্যাহত রাখার জন্য আলোচনার নামে সময় নিচ্ছে। তারা ইসরাইলকে ব্যাপক সুবিধা দেয়া কোনো চুক্তি মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে।
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে ওয়াশিংটন তার প্রয়াস জোরদার করার প্রেক্ষাপটে ব্লিনকেন এখন মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। তিনি সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আরো কয়েকজন নেতার সাথে বৈঠক করে ওই ঘোষণা দেন।
ব্লিনকেন বলেন, নেতানিয়াহুর সাথে তার খুবই গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর নেতানিয়াহু নতুন মার্কিন প্রস্তাব সমর্থন করে একটি বিবৃতি ইস্যু করেছেন।
ব্লিনকেন জোর দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার কাছে নিশ্চিত করেছেন যে ইসরাইল গত সপ্তাহে দোহায় দেয়া মার্কিন সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, এখন হামাসকে হ্যাঁ বলতে হবে। তারপর বিশেষজ্ঞ আলোচকেরা চুক্তি বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে হামাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতির জন্য আমাদের নতুন কোনো প্রস্তাবের দরকার নেইা। আমাদের প্রয়োজন ২ জুলাই আমাদের দেয়া প্রস্তাব বাস্তবায়ন। উল্লেখ্য, হামাসের ওই প্রস্তাব নেতানিয়াহু প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে নেতানিয়াহু ও ব্লিনকেনের বৈঠকের ব্যাপারে অবগত এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমেরিকানরা ইসরাইলের কৌশলগত যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেনি। তিনি বলেন, ইসরাইল ফিলাডেলফি রুট পুরোপুরি ত্যাগ করবে না।
নেতানিয়াহু যেসব দাবি জানাচ্ছেন, তার মধ্যে রয়েছে, যেকোনো চুক্তিতে মিসর-গাজা সীমান্তে (রাফা পয়েন্ট বা ফিলাডেলফি রুট) তাদের উপস্থিতি থাকতে হবে, উত্তর গাজায় হামাসের সদস্যদের প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। তিনি তার ঘোষিত গাজা যুদ্ধের সকল লক্ষ্য হাসিলের সুযোগও চান। এর মধ্যে রয়েছে, হামাসকে ধ্বংস করা। আর এ জন্য তিনি যেকোনো সময় যুদ্ধ শুরুর সুযোগ চান।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবে ইসরাইলের এসব দাবি কতটুকু মেনে নেয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য