বাংলাদেশ সচিবালয় অবরোধ করে রাখার কারণে আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আনসার সদস্যদের সচিবালয় অবরোধ করার ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আগামী দিনে কোনো ধরনের ক্যুর (অভ্যুত্থান) চেষ্টা করা হলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
রবিবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যুর উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হোন তবে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার হাজার-হাজার আনসার সদস্য সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর ১২টা থেকে তারা সচিবালয়কে অবরুদ্ধ করে রাখার কারণে বিকেল ৫টায় অফিস ছুটি হলেও রাত সাড়ে ১০টার আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বের হতে পারেননি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে কয়েকজনকে লাঠিপেটা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া দিলে আনসার সদস্যরা পালিয়ে যান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।