সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পূর্তি হলো আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের স্মরণে আজ ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এ ঘোষণা দেন।
আজ বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে এই শহীদি মার্চ শুরু হবে। সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাব, কলাবাগান হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ যাবে। এরপর বিজয় সরণি, ফার্মগেট হয়ে কাওরান বাজার, শাহবাগ হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্য-জাতীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হবে।
এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর কর্মসূচি শুরু করা হবে।
সারজিস আলম বলেন, ‘আজ থেকে এক মাস আগে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, বলা যেতে পারে ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময়ে ১৮ বছরের একটি ফ্যাসিজমে পটপরিবর্তন ঘটেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে রক্তের দাগ সেগুলো শুকায়নি। হাসপাতালগুলোতে গেলে এখনো রক্তের দাগ, বুলেটের চিহ্ন ও ক্ষতচিহ্নগুলো মুছে যায়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর অনেকেই বলছিলেন যে আমরা বিজয় র্যালি করতে পারি কিনা। কিন্তু বেশিভাগ ছাত্র-জনতা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে বিজয় মিছিল করার সময় এখনো আসেনি। এই বাংলাদেশে যতক্ষণ না পর্যন্ত গণমানুষের বাংলাদেশ না হচ্ছে এবং মানুষ যেসব সাংবিধানিক অধিকারগুলো না পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই বিজয় মিছিল করা প্রাসঙ্গিক নয়। তাই এ সময়ে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, শহীদ আবু সাঈদ থেকে শুরু করে যেসব ভাই শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণ করা।’
শহীদি মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে সারজিস বলেন, ‘যেসব ভাই-বোনেরা হাত হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি স্মরণে শহীদি মার্চ করতে চাই। আমরা চাইব, সকল ছাত্র-জনতা এই শহীদি মার্চে অংশ নেবেন।’
এই মার্চে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে, কেমন সরকার চাইসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন ও চিন্তাগুলো ব্যানার ফেস্টুন-প্লাকার্ডে থাকতে পারবে বলে জানান তিনি।