বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ নিয়ে সুর পাল্টালেন স্ত্রী ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানালেন মির্জা ফখরুল ভারত থেকে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি কিসের আলামত, প্রশ্ন রিজভীর আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৬ : প্রেস উইং চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ রয়টার্সের মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ জানালো সিএমপি হাইকোর্টের নজরে ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনা : আদালতকে পদক্ষেপ জানাবে সরকার ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শেখ হাসিনা

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ বার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এছাড়া এ ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব:) আবদুল মতিন বলেন, শুধু অপারেশন ডালভাতের জন্য বা রেশন বৃদ্ধির জন্য পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড। এই পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল দেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক, ছিল অপর একটি দেশের চক্রান্ত।

তিনি বলেন, এই হত্যাযজ্ঞের রেশ ধরেই এসেছে ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ভোটারবিহীন নির্বাচন, শিক্ষা ব্যবস্থা-বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস, দুর্নীতির মহোৎসব, গুম-খুনের অবাধ রাজত্ব। এ ঘটনায় অনেকে চাকরি হারান, অনেকে পদোন্নতি বঞ্চিত হন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাযজ্ঞের বিচার না করা হলে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা হলে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া নতুন স্বাধীনতা মুখ থুবড়ে পড়বে।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আরো বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় রাজধানীর বনানীতে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমের বাসায় বিডিআরের ডিএডি হাবিব, ডিএডি জলিল, ল্যান্সনায়েক রেজাউল, হাবিলদার মনির, সিপাহি সেলিম, কাজল, শাহাবউদ্দিন, একরাম, আইয়ুব, মঈন, রুবেল, মাসুদ, শাহাদত ও জাকির (বেসামরিক) বৈঠক করেন। এর আগে-পরেও বিডিআর সদস্যরা বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। সুবেদার গোফরান মল্লিক নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

মেজর জেনারেল (অব:) আবদুল মতিন বলেন, ২০০৮ সালের ১৭-১৮ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের বাসাতেও হাবিলদার মনির, সিপাহি শাহাব, সিপাহি মনির বৈঠক করেন। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যায় বিডিআর দরবার-সংলগ্ন মাঠে সিপাহি কাজল, সেলিম, মঈন, রেজা এবং বেসামরিক ব্যক্তি জাকিরসহ কয়েকজন বৈঠক করেন। সেনা তদন্ত কমিটি নানারকম বাধার মুখে পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট অনেক সংস্থা ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ নির্দেশনার কথা বলে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোরশেদুল হক, কর্নেল (অব:) আবদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) আমিনুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) সৈয়দ কামরুজ্জামান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com