করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মোকাবেলায় সামনে থেকে লড়ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা, ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা, দুস্থদের সাহাজ্য করা প্রভৃতি কাজে সবার আগে এগিয়ে আসছে পুলিশ। করোনার মধ্যে তাই দেশের পুলিশ সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে আছে।
দেশে শনিবার পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৩৮২ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬১ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা এবং শপিংমল ও বাজারগুলো চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মারাত্মক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
গত কয়েকদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। শুক্রবার দেশে সর্বাচ্চ ১২০২ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।
সারাদেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চিকিৎসক, পুলিশ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যসহ সম্মুখসারির করোনাভাইরাস যোদ্ধারা আক্রান্ত হচ্ছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যই রয়েছেন এক হাজার ৪১ জন।
এর মধ্যে, আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার আট সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। ৩৬১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি সেরে উঠেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা যৌথভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার পর্যন্ত ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত মোট ৩৪৫ জন সামরিক/বেসামরিক সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ভর্তি হয়েছেন।
তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ভর্তি থাকা অপর সব রোগী সুস্থ রয়েছেন বলে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ইমপালস হাসপাতাল ভাড়া নিয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরো মারাত্মক হয়ে ওঠায় সরকার সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ধীরে ধীরে কিছু খাত পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশে শনিবার পর্যন্ত পর্যন্ত ২০,৯৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩১৪ জন মারা গেছেন।
সূত্র : ইউএনবি