আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নগরবাসীর মৌলিক চাহিদা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত ৫টি মৌলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নিবেন বলেও তিনি জানান।
দায়িত্ব নেয়ার পর আজ এক অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে নগর ভবনে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো: ইমদাদুল হকের কাছ থেকে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তিনি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় মেয়রের স্ত্রী, মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, নগর আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ কামাল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদউদ্দিন আহমেদ রতন এবং কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।ডিএসসিসির নতুন মেয়র সাংবাদিকদের সামনে তার কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি চলমান মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, এডিস মশা আথাৎ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে নিশক নিধন কার্যক্রম জোরদারে অগ্রাধিকার দেবেন। মশক নিধনে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি নগরীর আর্বজনা দ্রুত অপসারণ এবং রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উপর গুরুত্ব দিবেন। মেয়র বলেন, নগরীর আরো বড় সমস্য যানজট নিরসনে পরিকল্পিত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি, স্বজনপ্রীতি ডিএসসিসির উন্নয়নকে মারাতœক বাধাগ্রস্ত করছে। আর এই দুর্নীতির কারণে অনেকাংশে উন্নয়নের সফলতা পাওয়া যায় না। ডিএসসিসিতে সব ধরনের দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
মেয়র বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া ত্রাণ সামগ্রি ডিএসসিসিতে বিতরণ চলমান থাকবে। একইসাথে চলমান ভাল উন্নয়নমূলক কার্যক্রমও চলবে।
তিনি বলেন, আগে জীবন, আর জীবন থাকলে জীবীকা থাকবে। তিনি ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্য রক্ষায় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
তিনি ঢাকাবাসীর কল্যাণে সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বের জন্য একটি সংবেদনশীল বিষয়। জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় করতে হবে। অর্থনীতি এবং জীবিকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এলক্ষ্যে জাতীয় কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি কর্পোরেশন গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।’
তাপস বলেন, আগামী জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর পিক সিজনে ঢাকাবাসীকে যেন ডেঙ্গু মশার প্রকোপ থেকে সুরক্ষা সেবা দিতে পারি সে বিষয়েও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান ভালো কাজের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাবো, প্রয়োজনে আরো বেগবান করা হবে।
তিনি করোনাক্রান্ত হয়ে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করে বলেন, গত বছরের মত ঢাকাবাসী যেন ডেঙ্গুতে কষ্ট না পান সেজন্য এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে এবং সকলের সাথে পরামর্শ করে করণীয় ঠিক করা হবে।
সূত্র : বাসস