শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন

কালই ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, হাসিনার ভাগ্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করার মেয়াদ আগামীকাল বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর পর কী হবে, তা নিয়ে তুমুল জল্পনা-কল্পনা চলছে। এ নিয়ে জি-নিউজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘চলতি সপ্তাহেই ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, হাসিনার ভাগ্য নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা’ শিরোনামে। এখানে সেটি তুলে ধরা হলো।

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো নিয়ে কিছুদিন আগে বাংলাদেশে যে চিত্কার ছিল তা খানিকটা স্থিমিত হয়ে এসেছে। এদিকে, বৃস্পতিবারই শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ কূটনৈতিক পাসপোর্টের দৌলতে তিনি যে ভারতে ৪৫ দিন থাকতে পারেন তা পূর্ণ হচ্ছে ওইদিন। এখন প্রশ্ন তার পরে কী করবে ভারত।

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, শুক্রবার থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন। মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টের দৌলতে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে কোন বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? কোনো কোনো মহলের যুক্তি, হয়তো তিব্বতী ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হতে পারে হাসিনাকে।

উল্লেখ্য, জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার পর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে ভারতে থাকার বিষয়টি এখন ভারতের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করে রয়েছে।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই সেদেশে বিএনপি-সহ অন্যান্য দল দাবি তুলেছিল শেখ হাসিনাকে ভারতে এনে তার বিচার করতে হবে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। এখন ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে না চাইলে কী করবে বাংলাদেশ। ইউনূস সরকার কি এনিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে যাবে নাকি ভারতকে এখনই চটাতে চাইবে না?

এনিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মঙ্গলবার বলেছেন, কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন তার তারা জানেন না। এনিয়ে ভারতের কাছে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা। তবে সবকিছু আইন দিয়ে চলে না ভারতে চাইলে যে কাউকেই সেদেশে আশ্রয় দিতে পারে।

হাসিনাকে দেশে ফেরানোর ঝক্কি অনেক। তাকে দেশে ফেরালে আওয়ামী লিগ ফের রাস্তায় নেমে পড়তে পারে। এতে দেশ প্রবল অসন্তোষ ছড়াতে পারে। পাশাপাশি তড়িঘড়ি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করলে আন্তর্জাতিক মহল ছেড়ে কথা বলবে না। এনিয়ে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হবে। কোনো কোনো মহলের মতে ওইসব একাধিক কারণেই শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছুটা চুপচাপ ইউনূস সরকার।
সূত্র : জি নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com