বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা আরো গভীর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে বাংলাদেশকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি। তকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলোচনাকালে এই আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তারা বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে আলোচনা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে একমত হন। এ সময় ব্লিঙ্কেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকট ও পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় ড. ইউনূসের দৃঢ় সংকল্প ও নেতৃত্বের জন্য ব্লিঙ্কেন তাকে সাধুবাদ জানান।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরের নির্ধারিত সভাস্থলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বৈঠকে বাংলাদেশে কোন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে সেই পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সাথে বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা আরো গভীরতর করার প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।