২০২৩ সালে চাল রফতানির ওপর বিধিনিষেধ ভারতের চাল রফতানি ২০ শতাংশ কমিয়ে ১৭.৮ মিলিয়ন টনে নামিয়ে আনে। ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে রফতানি এক বছরের আগের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ কমে যায়। ব্রিটিশ মিডিয়া ডেইলি মেইল এ তথ্য দিয়ে বলেছে, ভারতের কম চাল রফতানি এশিয়ান এবং আফ্রিকার চাল আমদানিকারক দেশগুলোকে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মিয়ানমারে যেতে বাধ্য করেছে। সীমিত উদ্বৃত্তের মধ্যে হঠাৎ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই দেশগুলোতে রফতানি মূল্য ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চালের বাজার ধরে রাখতেই ভারত বাধ্য হয়ে ফের রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বলা হচ্ছে, ভারতে বৃষ্টিপাত এবার ভালো হওয়ায় ধানের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে এবং দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের শস্য ভাণ্ডারে উপচে পড়া মজুদ রয়েছে। ২০২২ সালে বিশ্বের চাল রফতানির ৪০ শতাংশের বেশি জোগান দেয় ভারত। মোট ৫৫.৪ মিলিয়নের মধ্যে ২২.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন চাল রফতানি করেছিল ভারত। ভারতের রফতানি বিশ্বের পরবর্তী চারটি বৃহত্তম রফতানিকারকের সম্মিলিত চালানের চেয়ে বড় ছিল। ওই চারটি দেশ হচ্ছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত ১৪০টিরও বেশি দেশে চাল রফতানি করে। ভারতীয় বাসমতি ছাড়া অন্য চালের শীর্ষ ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে- বেনিন, বাংলাদেশ, অ্যাঙ্গোলা, ক্যামেরুন, জিবুতি, গিনি, আইভরি কোস্ট, কেনিয়া ও নেপাল। ইরান, ইরাক ও সৌদি আরব প্রধানত ভারত থেকে প্রিমিয়াম বাসমতি চাল কেনে।