মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা শুরু : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০
  • ৩৬৪ বার

ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান ব‌লেন, সাতক্ষীরা জেলার লোকজনকে ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা শুরু হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে অন্যান্য জেলার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১২ হাজার ৭৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উপকূলীয়সহ মোট ১৯টি জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৫০ লাখ নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ২৮ লাখ টাকা এবং শুকনা ও অন্যান্য খাবারের ৪২ হাজার প্যাকেট ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে ।

আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অনলাইন ব্রিফিংয়ে তি‌নি এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং দিক পরিবর্তন করে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রাম এর মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষ রাত হতে ২০ মে বিকাল বা সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটার -এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার বা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং উপকূলীয় জেলা সমূহ ও এর অন্তর্ভুক্ত দ্বিপসমূহ ৭ নং বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে যাতে খাবারের অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে। দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন সমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এরআগে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমুহের সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং উপকূলীয় জেলা সমূহের জেলা প্রশাসকদের সাথে অনলাইনে সভা করেন ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com