টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব ও যাবতীয় তথ্য আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে চেয়েছে।
বিএফআইইউ-এর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউ-এর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে মুন্নী সাহার নাম ও পাসপোর্টের তথ্য দেয়া হয়েছে।
বিএফআইইউ-এর নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণীসহ আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং হিসাব থাকলে ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি মুন্নী সাহা এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন।মালিকপক্ষের সাথে বিরোধের জেরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে তিনি জানান, পদত্যাগ করা ছাড়া তার সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কোণঠাসা অবস্থায় আছেন মুন্নী সাহা। ভোরের কাগজ দিয়ে তার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়। মুন্নী সাহা বহু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশের ব্যাপারে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো: কামরুল ইসলাম। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের সাথে যে সাতজন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে তাদের একজন মুন্নী সাহা।