ডিসি নিয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমে মাধ্যমের প্রকাশিত খবরের দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
কাল রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
নিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তকল্পে উপদেষ্টাদের নিয়ে গঠিত কমিটির অপর দু’সদস্য হলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মো জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক নিয়োগ-সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়ে দৈনিক কালবেলাসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ০৩ অক্টোবর প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণার্থে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ তিন সদসের কমিটি গঠন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, ফাহিম হাসানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে কেন্দ্রীয়ভাবে সহায়তা এবং পরিবীক্ষণ। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অন্যদিকে, গত ৩ অক্টোবর গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ৬ অক্টোবর গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন-এর কমিশন প্রধানরা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধাদি পাবেন বলে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই কমিশনগুলোর সদস্যদের মধ্যে যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত নন, তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজার টাকা সম্মানি এবং যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য পাঁচ হাজার টাকা সম্মানি পাবেন। তবে শর্ত থাকে যে কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করিতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিতে না চাইলে তাহা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করিতে পারবেন। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।