আগামী শনিবার (৩০ মে) শেষ হবে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ। নতুন করে ফের ছুটি বাড়বে কি না সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঈদের পর ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।
এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে বলেন, এবার কী হবে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। ছুটির বিষয়ে ২৮ মে’র দিকে হয়তো সিদ্ধান্ত হবে।
গত ২৬ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের কারণে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতোমধ্যে ছুটি বাড়ানো হয়েছে সাত দফা। ঈদুল ফিরতের ছুটিসহ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। ফের ছুটি বাড়বে কিনা এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনায় হয়নি। আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।
সর্বশেষ ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটিকালীন কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এ ছাড়া ছুটির সময় জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা নির্দেশনা (স্বাস্থ্যবিধি) কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল ইত্যাদি) ছাড়া অন্যান্য গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও যাত্রীবাহী ট্রেনও বন্ধ থাকবে। এমনকি অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলও বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা ও গণমাধ্যমসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ছুটির বাইরে আছে। তবে দোকানপাট, তৈরি পোশাক কারখানাসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকও চালু আছে। অফিসও প্রয়োজনে খোলা রাখা যাচ্ছে।
এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে কিছুদিন ছুটি বাড়লেও বেশ কিছু সীমিত আকারে খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। যেমন কর্মকতা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের দেওয়া ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।