কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সাথে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাফসানের (৩০) মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘোড়ার ঘাট ড্রেজিং পয়েন্টে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে।
রাফসান শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, রাফসান তার বন্ধু রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাসিবুর রশিদ তামিম, ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ, কুষ্টিয়া স্যামসাং শো-রুমের ম্যানেজার ফয়সাল ও আব্দুর রশিদকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গড়াই নদীতে গোসলের উদ্দেশ্যে আসেন। নদীতে নামার পর তামিম ও রাফসান একটু গভীরে গেলে হঠাৎ করে তারা দুজনই নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্য বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয় মাঝিরা তামিমকে টেনে তুললেও রাফসানকে খুঁজে পায়নি।
পরবর্তীতে খুলনা থেকে ডুবুরি দল কুষ্টিয়ায় এসে রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। শুক্রবার সকালে রাফসানের মৃতদেহ নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে কিছু দূরেই ডেজিং পয়েন্টে ভেসে ওঠে।
তার বন্ধু তামিম বলেন, ‘রাফসান আর আমি একসাথেই ছিলাম। বাকিরা একটু কম পানিতে ছিল। হঠাৎ করে আমাদের পায়ের তলের বালি সরে যায়। সাঁতার না জানায় আমি ও রাফসান তলিয়ে যাই। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করতে পারলেও রাফসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে রাফসান তার কর্মস্থল ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়া এসেছিলেন। চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ সকালে ভেসে ওঠার পর স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।