হাঁটুতে ইনজুরি। তা সত্ত্বেও কৃষ্ণাঙ্গদের আন্দোলন ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার’-এ যোগ দিয়েছেন কিংবদন্তি গায়িকা ম্যাডোনা (৬১)। শনিবার লন্ডনে অন্য তারকাদের পাশাপাশি তিনিও অংশ নেন। গত অক্টোবরে এক ট্যুরে তিনি হাঁটুতে আঘাত পান। সেই থেকে ক্রাচে ভর করে চলেন। সেই অবস্থায়ই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ম্যাডোনা। নিজের শহর ওয়াডফোর্ডে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন অ্যান্থনি জোশুয়া (৩০)। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন টেনিস আইকন হিসেবে পরিচিত বরিস বেকার (৫২)।
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃটেনের বিক্ষোভে যোগ দেন অনেক তারকা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অ্যালেক্সা চুং, সুকি ওয়াটারহাউজ। তারা ইনন্সটাগ্রামে বিক্ষোভে তাদের ছবি পোস্ট করেছেন। ম্যাডোনা এদিন বিক্ষোভে যোগ দেন নাইকি ব্রান্ডের একটি টি-শার্ট পরে। এতে লেখা ‘ব্লাক লাইভস ম্যাটার’।
চোখে পরেন অনেক বড় মাপের সানগ্লাস। বিক্ষোভের সময় তিনি খুব বেশি প্রকাশ্যে না আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ভক্তদের ক্যামেরায় তিনি ধরা পড়েছেন। এমন একজন সুপারস্টারকে রাজপথে পেয়ে কে চায় তার সঙ্গে একটি সেলফি না নিতে। ম্যাডোনা যখন ‘নো জাস্টিস, নো পিস’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন তখনকার বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেছেন অনেকে। এ সময় তার সঙ্গে বিক্ষোভে ছিলেন কয়েক শত বিক্ষুব্ধ জনতা। টুইটারে একজন ভক্ত লিখেছেন, কুইন ম্যাডোনা লন্ডনের ব্লাক লাইভ ম্যাটার বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন! তিনি সব সময়ই ইতিহাসের সঠিক অবস্থানে থাকেন!
এদিন নিজের শহর ওয়াটফোর্ডে জনবিক্ষোভের মধ্যে দেখা যায় অ্যান্থনি জোশুয়াকে। তিনিও ক্রাচে ভর করে বেরিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণকালে তিনি ইনজুরিতে পড়েছেন। তাই লেগ ব্রেস পরতে হয়েছে তাকে। এক পর্যায়ে তাকে মাইক্রোফেন হাতে বিক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। তিনি ঐক্যের আহ্বান জানান। কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায় যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সে ইস্যুতে সবাইকে সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। অ্যান্থনি জোশুয়া বলেন, প্রতিটি জীবনই গুরুত্বপূর্ণ। এ কথার সঙ্গে আমি শতভাগ একমত। তবে এই প্রতিটি জীবনের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও জড়িত। এ জন্যই আমি এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি। আমরা যে নামটা সবাই জানি, তাহলো জর্জ ফ্লয়েড। এ নামটা অনুঘটকের কাজ করেছে। একজন মানুষকে হত্যার বিষয় ভুলে যাওয়া যায় না। শুধু গায়ের রঙ কালো বলে তাদের মানবাধিকার কেড়ে নেয়া হবে, নিষ্পেষণ করা হবে, তাদেরকে নিয়ে মস্করা করা হবে, অবমাননা করা হবে- এটা হতে পারে না। বিক্ষোভে অংশ নেন কেট ফার্দিনান্দ, তার স্বামী রিও ও তিন সন্তান।